পিতা-মাতার ওসিলায় দুনিয়াতে সন্দানের আগমন। সন্তান জন্মবার বহু আগ থেকেই মাতা পিতা সন্দানের কল্যাণের জন্যে নিজের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ঠ আনন্দের সাথে বরণ করে নেয়। সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার অবদান কখনও ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এ জন্যই সন্তানের কাছে পিতা-মাতার অধিকার সবচেয়ে বেশি
আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন, আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সম্পর্কে আদেশ করেছি। তার মাতা কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে তাকে গর্ভধারণ করেছেন। দুই বছর পর্যন্ত তাকে স্তন্য দান করেছেন। তোমরা আমার এবং তোমাদের পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। আমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (সূরা লুকমান আয়াত:-১৪)
আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন, তোমার প্রতিপালক এ আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাঁকে ভিন্ন অপর কারো ইবাদত করো না। আর পিতা-মাতার প্রতি উত্তম আচরণ করো। যদি তাঁদের একজন কিংবা উভয়ে তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাঁদের উদ্দেশ্য কখনো ‘উহ’ পর্যন্ত বলবে না। তাদেরকে ধমক দিও না, বরং তাদের সাথে মার্জিত ভাষায় কথা বল। আর তাদের উদ্দেশ্য অনুগ্রহে বিনয়ের বাহু অবনমিত করো। আর বল, হে আমার প্রতিপালক! তাদের উভয়কে অনুগ্রহে করো, যেমন তাঁরা আমাকে শৈশবে প্রতিপালন করেছেন। (সূরা বনি ইসরাঈল আয়াত:২৩-২৪)
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: এক ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে ক্রন্দনরত অবস্থায় রেখে হিজরতের উদ্দেশ্য বাইয়াত করার জন্যে নবী করীম (সাঃ) এর নিকট এসে উপস্তি হলো। রাসূল্লাহ্ (সাঃ) তাকে বললেন: ফিরে যাও তোমার পিতা-মাতার কাছে এবং তাদেরকে খুশি করে এসো যেমনভাবে তাদেরকে কাঁদিয়ে এসেছ। (আদাবুল মুফরাদ)