যাকাত শব্দের আভিদানিক অর্থ বৃদ্ধি; ক্রমবৃদ্ধি, প্রাচুর্য এর আর একটি অর্থ পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা , ইত্যাদি। ফিকহ’র পরিভাষায় যাকাত হচ্ছে একটি আর্থিক ইবাদত। পরিভাষায় নিজের ধনসম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ গরীব মিসকিন ও অভাবী লোকদের মধ্যে বন্টন করাকে যাকাত বলা হয়।
وَ اِذۡ اَخَذۡنَا مِیۡثَاقَ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ لَا تَعۡبُدُوۡنَ اِلَّا اللّٰهَ ۟ وَ بِالۡوَالِدَیۡنِ اِحۡسَانًا وَّ ذِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ قُوۡلُوۡا لِلنَّاسِ حُسۡنًا وَّ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ ؕ ثُمَّ تَوَلَّیۡتُمۡ اِلَّا قَلِیۡلًا مِّنۡکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
অর্থ:- আর যখন আমি বনী ইসরাঈলের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম-মিসকীনদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে, মানুষের সাথে সুন্দর কথা বলবে, সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত প্রদান করবে। (২-আল বাক্বারা আয়াত ৮৩)
দুঃখ যনক হলেও কথাটি সত্য যে ,অনেকেই অনেক সম্পদের মাালিক কিন্তু সে যাকাত দিচ্ছে না গরিবদের কে সহযোগিতা করছে না এতিম মেসকিনদেরও সহযোগিতা করছে না। সে মনে করে যে সে সারা জীবন দুনিয়াতে থাকবে, আমাদের পূর্ব পুরুষ যারা আছে তারা দুনিয়াতে নেই আমরাও সেই পথের প্রতিক। এই জন্যই আমাদের উচিৎ পরিমানমতো যাকাত দেওয়া গরিবদের কে সহযোগিতা করা এবং এতিম মেসকিনদের সহযোগিতা করা তাহলে আমাদেরকে আল্লাহ্ তা’য়ালা মৃতুর পরে জন্নাত দান করবেন।