হাদীস। আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ- কথা, বাণী, সংবাদ, উপদেশ ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (র) বলেন- মহানবী (সাঃ) এর কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিই হাদীস।
মূরত হাদীস ইসলামী শরীয়তের দ্বিতীয় উৎস ও মৌলিক দলীল। মানবজীবন পরিচালনার জন্যে কুরআনের পরেই হাদীসের স্থান। হাদীস হলো পকিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা। হাদীসের জ্ঞান ব্যতীত পবিত্র কুরআন অনুধাবন করা এবং এর সঠিক তাৎপর্য বুঝা অসম্ভব। রাসূল (সাঃ) এর জীবনাচরণ হলো কুরআনের জীবন্ত ব্যাখ্যা। বস্তুত কুরআন বুঝার জন্যে হাদীস জানা একান্ত অপরিহার্য।
১। ওসমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম, যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।( সহীহ বুখারী, হাদীস-৪৬৩৯)।
২। জাবের (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, সবচেয়ে উত্তম কথা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং সবচেয়ে উত্তম পথ হচ্ছে মুহাম্মদ (সাঃ) এর দেখানো পথ। (সহীহ মুসলিম)।
৩। আসির ইবনে জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন: কুরআন পড়া হচ্ছে সর্বোত্তম ইবাদত। (জামিউস সাগির, বুখারী)।
৪। মারেক ইবনে আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমি তোমাদের মধ্যে দুটি নির্দেশিকা রেখে গেলাম। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এ দুটিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরবে ততক্ষণ কখনও বিভ্রান্ত হবে না। তা হলো আল্লাহর কিতাব (কুরআন) ও তাঁর রাসূলের সুন্নত (হাদীস)। (মুয়াত্ত)। (হাতকম, সহীহ তারগীব ১ম,৩৬, জামে আস সগীর)।
৫। আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, তোমরা কুরআন পাঠ কর, নিশ্চয়ই তা কেয়ামতের ময়দানে তার সাথীদের জন্যে সুপারিশ করতে উপস্থিত হবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস-৮২৪)।