“সালাত” আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ প্রার্থন, অনুগ্রহ, পবিত্রতা বর্ণ না করা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা অথবা নত হওয়া, অবনত করা ও বিস্তৃত করা। ইসলামী পরিভাষায় শরীয়তের নিয়ম মোতাবেক এক বিশেষ পদ্ধতিতে আল্লাহর গুণগান করা, রুকু-সিজদাসহ আল্লাহর ইবাদত করাকে সালাত বলা হয়। ইসলামের মৌলিক ইবাদতের মধ্যে সালাত হচ্ছে সর্বোত্তম ইবাদত। মিরাজের রাত্রে উম্মতে মুহাম্মদীর উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয হয়।
وَ اِذۡ اَخَذۡنَا مِیۡثَاقَ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ لَا تَعۡبُدُوۡنَ اِلَّا اللّٰهَ ۟ وَ بِالۡوَالِدَیۡنِ اِحۡسَانًا وَّ ذِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ قُوۡلُوۡا لِلنَّاسِ حُسۡنًا وَّ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ ؕ ثُمَّ تَوَلَّیۡتُمۡ اِلَّا قَلِیۡلًا مِّنۡکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
অর্থ:-আর যখন আমি বনী ইসরাঈলদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ্ তা’য়ালা ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম-মিসকীনদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে, মানুষের সাথে সুন্দ কথা বলবে, সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত প্রদান করবে। অতঃপর তোমাদের মধ্যে সামান্য কিছুসংখ্যক লোক ছাড়া অধিকাংশই পৃষ্ঠপৃদর্শন করেছ। এভাবেই তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলে। (সূরা আল বাক্বারা আয়াত-৮৩)
আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি রাসূলে করীম (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন বান্দার আমলের মাঝে সর্বপ্রথম তার সালাত সমর্কে হিসাব নেয়া হবে। তার সালাত যদি যথাযথ সটিক প্রমাণিত হয় তবে সে সাফল্য লাভ করবে। আর যদি সালাতের হিসবেই খারাপ হয় তবে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হিসেবে সালাতের ফরযে যদি কিছু কম পড়ে, তবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তখন বলবেন তোমরা দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল সালাত বা নফল বন্দেগী আছে কি না, যদি থাকে তাহলে এর দ্বারা ফরযের কমতি পূরণ করো। পরে তার অন্যান্য সব আমালের ব্যাপারে এটিই বিবেচিত ও অনুরূপভাবে কমতি পূরণ করা হবে। ( আবু দাউদ,হাদীস-৮৬৪-৬৬)