প্রয়োজনীয় দোয়া
১। অসুস্থ হলে সুস্থতার দোয়া
أَسْأَلُ اللهَ العَظيمَ، رَبَّ العَرْشِ العَظِيمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ
উচ্চারণ : আসআলুল্লাহাল আজিমা, রাব্বাল আরশিল আজিমি, আঁইয়্যাশফিয়াক’ অর্থাৎ `আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য (সুস্থতা) প্রার্থনা করছি` আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমজি, আবু দাউদ)
২। বিপদের সময় দোয়া
لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।
অর্থ : আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমি পাপী। -সূরা আল আম্বিয়া : ৮৭
৩। সন্তান নেককার হওয়া দোয়া
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
উচ্চারণ : রাব্বি হাবলি মিনাস সলেহিন।
অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে এক সৎপুত্র দান করুন।’ (সুরা সাফফাত, আয়াত : ১০০)
৪। স্বরনশক্তি বৃদ্ধির দোয়া
رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا .رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي يَفْقَهُوا قَوْلِي
উচ্চারণ:- রব্বি জিদনি ইলমা, রব্বিস রহলি সদিরি অএস সিরিলি আমরি অহলুল উকদাতাম মিল্লি সানি এফকহু কওলি।
অর্থ:- হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও। হে আমার প্রতিপালক! আমর বক্ষ (হৃদয়) খুলে দাও। আমার কাজকে সহজ করে দাও্ আমার জিহবার জরতা দূর করে দাও, যাতে লোকেরা আমার কথা বুঝে। (সূরা-ত্বহা আয়াত- ১৪, ২৫-২৮)
৫। নিদ্রা যাওয়ার দোয়া
اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’
৬। নিদ্রা হতে উঠার দোয়া
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
উচ্চারণ- ‘আলহামদু লিল্লাহিল লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’
অর্থ : ‘সব প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করেছেন এবং তার দিকেই আমাদের পুনরুত্থান।’
৭। টয়লেটের প্রবেশের দোয়া
اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।’
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ ও স্ত্রী শয়তানের অনিষ্ট তথা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)
৮। টয়লেট হতে বের হওয়ার দোয়া
غُفْرَانَكَ الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّيْ الْاَذَى وَعَافَانِيْ
উচ্চারণ : ‘গোফরানাকা আল-হামদুলিল্লাহিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়া আফানি।’
অর্থ : ‘(হে আল্লাহ!) আপনার কাছে ক্ষমা চাই। সব প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য; যিনি ক্ষতি ও কষ্টকর জিনিস থেকে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন।’
৯। বাড়ি থেকে বাহির হওয়া দোয়া
بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ وَ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ : আল্লাহর নামে, আল্লাহ তাআলার ওপরই নির্ভর করলাম, আল্লাহ তাআলার সাহায্য ছাড়া বিরত থাকা ও মঙ্গল লাভ করার শক্তি কারো নেই।
১০। যানবাহনে উঠার দোয়া
سُبْحانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হা-জা ওয়ামা কুননা লাহু মুক্বরিনীন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবুন। (সূরা: যুখরূফ, আয়াত: ১৩-১৪)।
অর্থ : মহান পবিত্র তিনি, যিনি আমাদের জন্য এটাকে (যানবাহনকে) অধীন-নিয়ন্ত্রিত বানিয়ে দিয়েছেন, নতুবা আমরাতো এটাকে বশ করতে সক্ষম ছিলাম না। একদিন আমাদেরকে আমাদের প্রভুর নিকট অবশ্যই ফিরে যেতে হবে।
যে সময় দোয়া করলে আল্লাহ্ দোয়া কবুল করে।
১। তাহাজ্জতের নামাজের সময়।
২। ইফতারের সময়।
৩। ফরজ নামাজের পর।
৪। শুক্রবার আছর ও মাগরিবের মাঝখানের সময়।
৫। সিজদার মধ্যে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন।
৬। আযান এবং ইকামাত এর মাঝখানের সময় দোয়া কবুল করেন।
৭। রমযান মাসের কদর রাতে আল্লাহ্ দোয়া কবুল করেন।
৮। কোরআন কতমের পর দোয়া কবুর করেন।
৯। আরাফাতের মাঠে দোয়া করলে ।
১০। তয়াফ করা অবস্থায়
১১। মুজদালিফায় দোয়া কবুল হয়।
১২। বৃষ্টির সময় দোয়া কবোল হয়।
১৩। মুসাফিরের দোয়া আল্লাহ্ কবুল করেন।
দোয়া কবুলের শর্ত পাঁচটি
১। হালাল খাবার,
২। শুধু আল্লাহর কাছে চাওয়া।
৩। আল্লার উপর ভরসা রাখা।
৪। দোয়ার সময় রাসুল (সা) এর উপর দুরুদ পড়া।
৫। আল্লাহর কাছে যে দোয়া করবেন সে অনুযায়ী কাজ করা