গিবদ

গিবদ

মানুষের বদ অভ্যাসের একটি হচ্ছে গীবত। গীবত শব্দের অর্থ পরনিন্দা করা, কুৎসা রটনা করা। অন্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করা। কারো অনুপস্থিতে তার এমন কোনো দোষ অন্যের কাছে বলা যা সে অপছন্দ করে কিংবা পরে শুনরে সে মনে কষ্ট পাবে তাই গীবত। গীবত একটি মারাত্মক অপরাধমূলক কাজ। এটি রীতিমত একটি সামাজিক ব্যাধি। যা মুসলমানদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূর (সাঃ)  হারাম করেছেন।

 یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُکُمۡ بَعۡضًا ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ یَّاۡکُلَ لَحۡمَ اَخِیۡهِ مَیۡتًا فَکَرِهۡتُمُوۡهُ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ

অর্থ:- হে মু’মিনগণ। তোমরা বেশি বেশি ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গুনাহ এবং গোপনীয় বিষয়ে অনুসন্ধান করো না। আর তোমাদের কেউ যেন কারও পিচনে গীবত না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? অথচ তোমরা তা ঘৃণাই করো। আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ্ তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু (৪৯-সূরা আল-হুজরাত আয়ত -১২)

আবু সাঈদ (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, গীবত হলো ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্মক। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) গীবত কি করে ব্যভিচারের চেয়ে মারাত্মক? রাসূল (সাঃ) বললেন, কোনো ব্যক্তি যদি যেনা করার পর তওবা করে, আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। কিন্তু গীবতকারীকে যার গীবত করা হয়েছে সে যদি মাফ না করে তাহলে আল্লাহ মাফ করবেন না। ( বায়হাকী-৬৩১৫)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Learn Quran teacher
1
Hello
Learn Quran Teacher
Hello, Can I help you for
teaching the holy Quran