উপকারী হোন হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্নিত, নবী করিম (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলমান পার্থির কষ্টসমুহের মধ্যে থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ্ তায়লা কিয়ামতরে দিন তার একটি বড় কষ্ট দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন অভাবির অভাবের কষ্ট লাঘব করে দেয়, আল্লাহ্ তায়রা দুনিযা ও আখিরাতে তার অভাবের কষ্ট লাঘব করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ্ তায়ালা দুনিয়া আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। বান্দা যতক্ষন তার অপর মুসরিম ভাইয়ের সাহায্য করতে থাকে। আল্লাহ্ও ততক্ষন তার সাহায্য -সহায়তা করতে থাকেন। (মুসলিম শরীফ:- ২৪৫)
ঐতিহাসিক বিদায় হজের ভাষনেও তিনি অধীনস্ত ও দুর্বলদের কথা উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, অধীনস্থদের সাথে সদ্ব্যবহার সৌভাগ্যের উৎস আর তাদের সাথে দুর্ব্যবহার দুর্ভাগ্যের উৎস। (আবু দাউদ)
মানুষের ক্ষতি করা, মানুষের কষ্ট দেয়া কুবই সহজ কাজ। তাই বলে মানুষের একটি কষ্ট দুর করা বা তাকে সাহায্য সহযোগিতা করা যে খুবই কঠিন তা কিন্তু নয়। প্রয়োজন শুধু একটু সদিচ্ছা। আমরা যদি আল্লাহ হুকুম মোতাবেক চলি আল্লাহ্ দুনিয়া ও পরকালে শান্তি-দান করবেন।
সুতারাং আসুন আমরা আল্লার হুকুম মুতাবেক চলি, পরস্পরের অনে অন্যের একটি করে কষ্ট লাঘব করি, উপকার করি, সহযোগিতা হাত বাড়াই, কাল কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের বড় বড় কষ্ট সমুহ দুর করে দিবেন ইনশাআল্লাহ্।