“সাওম” বা “সিয়াম” আরবি শব্দ। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত রোযা মূলত ফরসী শব্দ। সাওম অর্থ বিরত থাকা, দূরে থাকা, কঠোর সাধনা, অবিরাম চেষ্টা ও আত্ম সংযম। ইসলাসী পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তের সঙ্গে পানাহার ও সকল প্রকার যৌন-সম্ভোগ থেকে বিরত থাকাকে সাওম বলা হয়।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
অর্থ:- হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্যে রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববতীদের ওপর । আশা কার যায় তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণ ও বৈশিষ্ট্য জাগ্রত হবে। (২- সূরা বাকারা আয়াত-১৮৩)
আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূরল করমি (সাঃ) ঘোষণা করেছেন, যে লোক রমযান মাসের রোযা রাখবে ঈমান ও চেতনা সহকারে (সাওয়াবের আশায়) তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ হয়ে যায়। ( বুখারী-৩৭,১৮৭৫)
আরেক হাদিসে আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলে করীম (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের নিকট রমযান মাস উপস্থিত্ এটি এক অত্যন্ত বরকতময় মাস। আল্লাহ্ তায়ালা এ মাসে তোমাদের প্রতি রোযা ফরয করেছেন। এ মাসে আকাশের দরজা-সমূহ উম্মুক্ত হয়ে যায়, এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো আটক করে রাখা হয়। আল্লাহর জন্যে এ মাসে একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও অনেক উত্তম । যে লোক এই রাত্রির মহাকল্যাণ লাভ হতে বঞ্চিত থাকলে, সে সত্যই বঞ্চিত ব্যক্তি। (নাসায়ী, হাদীস-২১০৬)
রমযান মাসে যে কাজগুলো বেশি বেশি করবো।
১। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতেরসাথে আদায় করা।
২। কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা (এক কতম দেওয়া)
৩। মানুষকে ইফতার করানো।
৪। বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
৫। বেশি বেশি যিকির করা ।
৬। রমযান মাসে যাকাত দিয়ে দেওয়া।
৭। রমযান মাসে বেশি বেশি দান করা।
৮। ফিতরা দেওয়া।
৯। লাইলাতুলকদর রাতে বেশি আমর করা।
১০। মানুষের প্রতি দয়াশীল হওয়া।