“হজ্জ” আরবি শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ অভিপ্রায় বা সংকল্প করা, কোথাও যাবার ইচ্ছা করা। শরীয়তের পরিভাষায় নির্দিষ্ট মাসের নির্দিষ্ট তরিখে মক্কার কা’বা ঘর এবং তার সংলগ্ন কয়েকটি স্থানে ইসলামে বিধানানুযায়ী অবস্থান করা বা যিয়ারত করাকে হজ্জ বলা হয়। শরীয়তের বিধান মোতাবেক নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ্জ করা ফরয।
হজ্জ ফরয হবার শর্ত সাতটি
১। সুস্থ মস্তিষ্ক হওয়া,
২। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
৩। স্বাধীন হওয়া
৪। সুস্থ হওয়া
৫। যাতায়াত ও মক্কায় অবস্থানের জন্যে প্রয়োজনীয় অর্থ থাকা
৬। রাস্তা নিরাপদ হওয়া
৭। ফিরে আসা পর্যন্ত স্ত্রী লোকদের জন্যে স্বামী অথবা এমন কোনো আত্মীয় সফর সঙ্গী থাকা আবশ্যক যার সাথে বিবাহ হারাম।
اِنَّ الصَّفَا وَ الۡمَرۡوَۃَ مِنۡ شَعَآئِرِ اللّٰهِ ۚ فَمَنۡ حَجَّ الۡبَیۡتَ اَوِ اعۡتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡهِ اَنۡ یَّطَّوَّفَ بِهِمَا ؕ وَ مَنۡ تَطَوَّعَ خَیۡرًا ۙ فَاِنَّ اللّٰهَ شَاکِرٌ عَلِیۡمٌ
অর্থ:- নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর ঘরের হজ্জ কিংবা উমরাহ সম্পন্ন করবে, এ দুই পর্বতের মধ্যে দৌড়ানো তার পক্ষে কোনো পাপের কাজ নয়। আর যে ব্যক্তি নিজ ইচ্ছা- আগ্রহ ও উৎসাহে কোনো মঙ্গলজনক কাজ করবে আল্লাহ তার সম্পর্কে অবহিত এবং এর পুরষ্কার দান করবেন, তিনি সর্বজ্ঞ। ( ২- সূরা বাকারা আয়াত-১৫৮)
আবু হুরায়রা(রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কামনা-বাসনা (স্ত্রী সংগম) ও আল্লাহর নাফরমানী হতে বিরত থেকে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে হজ্জ কার্য সমাধা করে, সে যেনো মাতৃগর্ভ হতে ভূমিষ্ট (নিষ্পাপ) হয়ে বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করল। (বুখারী-১৪২৮)